আবারও ছুটি বাড়ল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তবে সরকারি ছুটি আর বাড়ছে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং শিল্প কলকারখানা সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হবে। এবং এই ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মকাণ্ড চালাতে হবে।
তবে গণপরিবহন, যাত্রীাবাহী নৌযান ও ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধই থাকছে। অবশ্য কর্মস্থলে যাওয়ার গাড়ি ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারবে। এ ছাড়া কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল করতে পারবে।
এক মাস রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে গেল দুদিন আগে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটিও শেষ হচ্ছে তিন দিন পর, ৩০ মে। এ অবস্থায় ছুটি আরও বাড়বে কি না, সেটিই এখন অনেকের জিজ্ঞাসা।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে কয়েক দফা সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর নতুন করে আর কোনো ছুটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করতে হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সুতরাং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকছে।
বুধবার বিকালে তিনি বলেন, ‘‘বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা অফিসে আসবে না, গণপরিবহন চলবে না। আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত স্কুল, কলেজও বন্ধ থাকবে।’’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুমোদন দিয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন ‘ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এবং চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়।
এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৬ মে এবং সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার। ২৫ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীন অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।
সর্বশেষ গত ১৪ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৭ থেকে যে সাধারণ ছুটি, শবে কদরের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এখনো তা চলছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতিমধ্যে সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির বাড়ানো হয়।