Degree second year incourse দিতে চাই। can any 1 say detailles about incourse… pleeeeease…
প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে, অন্য ছাত্রছাত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে অবশ্যই আমাদের সাইটে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে৷
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা নিজ তাগিদেই এই ইনফরমেশনগুলো কালেক্ট করে থাকে (যেমনটা আমরা করেছিলাম আমাদের ছাত্রজীবনে)। কিন্তু তারপরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি বিশাল হওয়ায় তাদের তথ্যগুলো সহজলভ্য হওয়ার পরও অনেকেই খুটিনাটি বিষয়গুলো ধরতে পারে না। সেই সাথে অনেকের মধ্যে ইনকোর্স সম্বন্ধে ঢিলেঢালা ভাব কাজ করে। ফাইনাল পরীক্ষার আগে ছোট পরীক্ষা বলে কোন রকমে পরীক্ষার ফিস জমা দিয়ে উপস্থিত হয়েই বিশাল কিছু করে ফেলার তৃপ্তি অর্জন করে!! অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে এটা সরাসরি ফাইনাল পরীক্ষারই অংশ।
প্রথমেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মগুলোর সারক্ষেপ করে লেখা একজনের লেখা তুলে দিচ্ছি । প্রসঙ্গত- জাবি র ওয়েবসাইটে সব গুলোই বিস্তারিত আছে- যে কেউ গিয়ে দেখে আসতে পারে।
“ইনকোর্স পরীক্ষা প্রত্যেক বর্ষে অন্তত ২টি করে হয়ে থাকে।
৪টি বর্ষে মোট অন্তত ৮টি ইনকোর্স পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি বিষয়ের উপর ইনকোর্স পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি বিষয়ের মোট নাম্বারের ১৫ নাম্বারে ইনকোর্স পরীক্ষা হবে,আর ৫ মার্ক দেয়া হবে ক্লাসে উপস্থিতির উপরে ভিত্তি করে।এই মোট ২০ নাম্বার।
বাকি ৮০ নাম্বারের উপর ফাইনাল পরীক্ষা হবে।
উদাহারন-বিষয় “অর্থনীতি ও উন্নয়ন” পূর্নমান ১০০।
তাহলে ১০০ ভিতর ২০ মার্ক হবে (ইনকোর্স পরীক্ষা + ক্লাসে উপস্থিতি)এর উপরে ভিত্তি করে,
আর বাকি ৮০ নাম্বারে হবে ফাইনাল পরীক্ষা।
প্রতিটি বর্ষের ক্লাস আরম্ভর প্রথম ৩ বা ৪ মাসের মধ্যে ১ম ইনকোর্স পরীক্ষা হয়ে থাকে,আর ২য় ইনকোর্স ও পরবর্তী ৪ মাসের ভিতর হয়ে থাকে সাধারণত।
ক্লাসে যা যা পড়ানো হবে তার উপরেই ঐ বিষয়ের ইনকোর্স পরীক্ষার হয়ে থাকে।
#বিঃদ্র- কিছু কিছু বিষয় আছে যার পূর্নমান ৭৫। সেই বিষয়ের জন্য ইনকোর্স পরীক্ষা হবে ১৫ নাম্বারে।
আবার যেই বিষয়ের পূর্নমান ৫০।সেই বিষয়ের জন্য ইনকোর্স পরীক্ষা হবে ১০ নাম্বারে।
(ইনকোর্স পরীক্ষা) হবে আপনার কলেজে নিজ নিজ বিভাগে।
ইনকোর্স পরীক্ষার ফিঃ পরীক্ষার জন্য টাকা জমা দিতে হবে নিজ বিভাগে
উক্ত পরীক্ষা নাম্বার ফাইনালে যোগ করা হয় তাই ইনকোর্স পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরীক্ষা না দিলে আপনি ইনকোর্স পরীক্ষার ২০ নাম্বারের কোন নাম্বার পাবেন না। তাই সকলে ইনকোর্স পরীক্ষার দিবেন।
ইনকোর্স পরীক্ষার পাশ মার্ক : ০৮ ”
এবার ইনকোর্স পরীক্ষার ব্যপারে ফ্রিকোয়েন্টলি জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলো দেখা যাক-
-১- ইনকোর্স পরিক্ষার নিয়ম সম্পর্কে কেউ বলবেন।
-২- ইনকোর্স পরিক্ষা কি শুধু এক বিষয়ের উপর হয়?
– ৩- ইনকোর্স পরিক্ষা একটা না দিলে কি কোন সমস্যা হবে?
-৪- আচ্ছা ইনকোর্স পরীক্ষাতো দুই বার হয়। দুটার মধ্যে যদি একটিও না দেই তাহলে কি কোন সমস্যা হবে।
-৫- অাজ খুব সকালে নওগাঁ থেকে রাজশাহী কলেজে ১ম ইনকোর্স দিতে গেলাম তবে আমার উপস্থিতি ৬০% এর নিচে তাই আমাকে পরিক্ষা দিতে দেওয়া হয় নি??? এখন আমার কি কোনো সমস্যা হবে অামি ইনকোর্স এর কোনো পরিক্ষা আর দিতে পারবো না বলে দিছে???
-৬- ইনকোর্স কি সব কলেজে একসাথে নিবে।
-৭- ইনকোর্স এবং খাতায় একসাথে ৪০ নাম্বার পেলে পাশ,নাকি আলাদা আলাদা পাশ করতে হবে
-৮- ইনকোর্স পরীক্ষা না দিলে কী সমস্যা হতে পারে?
-৯- অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ননপ্রোমোটেট হলে কি ইনকোর্স পরিক্ষার নাম্বার কি পাওয়া যায় বা দেয় যদি আবার ফাইনাল পরিক্ষা দেওয়া হয়।
১, ২ এর উত্তর লেখাটি থেকেই পাওয়া যাবে আশা করি। ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তরও খুব সহজ। যেহেতু দুই ইনকোর্সে প্রতিটি পরীক্ষার গড় করে নম্বর দেয়া হয়, সুতরাং একটি পরীক্ষা না দিলে গড় কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। বেশির ভাগ টিচাররা পাশ মার্কস দিয়ে দেয় সত্যি, কিন্তু ভালো মার্কস ক্যারি করতে চাইলে স্যারদের রিকোয়েস্ট করে পরীক্ষাটি ভালোমতো দিয়ে দেয়াটাই উত্তম। মনে রাখতে হবে, এই ইনকোর্স মার্কস গুলো কিন্তু সরাসরি ফাইনাল পরীক্ষায় যোগ হয়ে যাবে।
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর- কোন পরীক্ষা না দিলে কি সমস্য হবে তা আপনারই ভালো জানবার কথা, ত্রয়োদশ শ্রেনীতে ওঠার আগে তো জীবনে বহু পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষা না দিলে সরাসরি এফ গ্রেড। আর কোন ইনকোর্সে একটি এফ গ্রেড থাকলে তার ফরম ফিলাপ করার অনুমতি প্রদান করা হয় না- ফলে ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অবশ্যই হারাবে। আর পরীক্ষার ফি দিয়ে পরীক্ষা না দিলে- নিতান্ত বাজে গোছের কলেজ না হলে আপনাকে সর্বোচ্চ পাশ মার্কস টা ধরায় দিতে পারে। একটি পরীক্ষায় ৮ এবং ২০ মার্কসের পার্থক্য নিশ্চয়ই ধরতে পারেন আশা করি।
৫ নম্বর প্রশ্ন- এটাই হওয়া উচিত। আপনি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী নিবেন অথচ ক্লাস করবেন না, এটা তো ঠিক নয়। বরং ক্লাসে যথেষ্ট উপস্থিতি না থাকার পরও যারা পরীক্ষা নেয় তারা নৈতিকভাবে ভালো কাজ করেন না, বলাই বাহুল্য।
৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর- কলেজের নিজস্ব রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ নম্বর প্রশ্ন- অবশ্যই আলাদা ভাবে পাশ করতে হবে। “প্রতিটি ৮০ মার্কস এর পরীক্ষায় পাশ
মার্কস হল ৩২
☞ পাশ করার পর ইনকোর্সের মার্কস যোগ
হবে। ইনকোর্স পরিক্ষায় পাশ মার্কস ৮”
৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর – জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী- “☞ সকল কোর্সের ( ইনকোর্স /তত্ত্বীয় /ব্যবহারিক/ মাঠকর্ম/ মৌখিক ) পরীক্ষায় অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক !” মনে রাখবেন, ইনকোর্স পরীক্ষা ফাইনাল পরীক্ষারই একটি অংশ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। কোন একটি ইনকোর্স পরীক্ষার প্রথম দিন শেষে একজন বললো “পরীক্ষার ফি তো দিয়ে দিয়েছি স্যার, কাল কি পরীক্ষা দিতে আসতেই হবে?” আরেকবার একজন বললো-“অনেক দূর থেকে এসেছিতো, আজকে পরীক্ষার ফি দিয়ে গেলাম, কাল থেকে আসবোনা, একটু অনুমতি দেন স্যার! ”
বলা বাহুল্য বাংলাদেশের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এই গুরুত্বপূর্ণ ইনকোর্স পরীক্ষাটিকে কৌশলে গুরুত্বহীন করবার চেষ্টা করেছে বলেই সেইসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ধারণা থেকেই এই সব অদ্ভুত আব্দার নিয়ে কেউ কেউ আসে। পরীক্ষা মানে “পরীক্ষা”। স্নাতক পর্যায়ে পরীক্ষা নামের খেলা কোন জাতির জন্য ভালো লক্ষন হতে পারে না।
৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ননপ্রোমোটেট হলেও ইনকোর্স নম্বরটি সংরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ পরবর্তীতে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা দেয়া হলেও ইনকোর্স নম্বর আগেরটাই রেখে দেয়া হয়, নতুন করে ইনকোর্স পরীক্ষা নেয়া হয় না।
স্নাতক পর্যায়ে পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এই ছোট পরীক্ষাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রচলিত আছে। কোথাও ভিন্ন নামে, যেমন- ক্লাস টেস্ট, টিউটোরিয়াল ইত্যাদি। এই পরীক্ষাগুলোর উদ্দেশ্য হলো একটি চলমান কোর্সের বড় পরীক্ষার বিষয়গুলো ছোট ভাগে ভাগ করে ভালোভাবে আয়ত্ব করা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকোর্স নামে পরীক্ষাটি চালু আছে। ইনকোর্স পরীক্ষাটি কেউ মনোযোগ দিয়ে দিতে পারলে তার জন্য ফাইনাল পরীক্ষা দেয়া শুধু সহজই হবে না, ফলপ্রদ ও হবে।