আমার এইচএসসি সার্টিফিকেটে নাম ও পিতার নাম ভুল ছিল। এই ভুল নাম নিয়েই অনার্স ভর্তি হয়েছিলাম। এখন কিভাবে তা আমি সংশোধন করতে পারি?
প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে, অন্য ছাত্রছাত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে অবশ্যই আমাদের সাইটে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে৷
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
সার্টিফিকেট পরিবর্তন বা সংশোধন: নিয়মাবলী
১. নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি বা এফিডেভিট করাতে হবে। বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী ১০০ টাকার ২ টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার মানে ২ পাতাতে লিখে আবেদন করতে হয়। পরে একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
এফিডেভিটের জন্য লাগবেঃ
২. বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই বোর্ডে। শিক্ষা বোর্ডের ‘তথ্য সংগ্রহকেন্দ্র’ অথবা ‘বৃত্তি বিভাগ’ অথবা অনলাইন থেকে নাম সংশোধনের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের পর প্রার্থী স্বহস্তে নির্ভুলভাবে তা পূরণ করবেন। প্রার্থীর নাম, বাবার বা মায়ের নাম ও পদবী সংশোধনের ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার জন্য ৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখা হতে সোনালী সেবার মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এ ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে।
“ছাত্র/ছাত্রীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, পদবী সংশোধনের আবেদনপত্র”- শিরোনামের ফর্মটি শিক্ষাবোর্ড থেকে কালেক্ট করবেন।
৩. আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড/প্রবেশপত্র/নম্বরপত্র/মূল সনদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত কপি, ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কাটিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছে নাম সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করে তার মূল কপি জমা দিতে হবে।
৪. নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণের এক মাসের মধ্যে বোর্ড আবেদনকারী এবং তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকসহ একটি মিটিংয়ে বসে। এ মিটিংয়েই প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিটিংয়ে বসার কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই আবেদনকারীর ঠিকানায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়। জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিশেষ বিবেচনায় একদিনের মধ্যেও নাম ও জন্মতারিখ সংশোধন করার সুযোগ আছে। সাক্ষাৎকারে আপনাকে নাম পরিবর্তনের কারন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হবে। সাক্ষাৎকার শেষে আপনার কারণগুলো যদি সচিবের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় তাহলে আপনার নাম পরিবর্তন/সংশোধনের জন্য অনুমতি মিলবে। অনুমতি প্রাপ্তদের নাম সংশ্লিষ্ট বোর্ড ওয়েবসাইট প্রকাশ করবে।
শিক্ষা বোর্ডে যা যা দরকার হয়ঃ
সব কাজ হয়ে গেলে এমন একটা কাগজে আপনার নাম পাবেন এবং তা প্রিন্ট করবেন।
পাতাটি (যেটায় আপনার নাম আছে) ২৫ কপি ফটোকপি করবেন এবং বোর্ডে গেলে ২৫ কপিই সঙ্গে রাখবেন। এর পর থেকে আলোচনায় এটাকে আমরা ডাকবো “চিঠি” বলে।
তারপর?
আপনাকে আসল সার্টিফিকেটস জমা দিয়ে দিতে হবে। কিভাবে দেবেন?
১। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া
২। পরিবর্তনের জন্য জমা দেওয়া
১। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া
আপনার আসল সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড এবং ট্রান্সক্রিপ্ট জমা দিবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্ডটা বাদে বাকি তিনটা। তাই এটাকে আমরা এখন থেকে সার্টিফিকেট(+২) বলবো। আপনার যে প্রশ্ন উত্তরগুলো জানার দরকার, তাই এখানে আলোচনা করবো।
প্রশ্ন – ০১ । কোনটা কোথায় জমা দিবেন?
প্রশ্ন – ০২ । জমা দিলেন, এবার কি করবেন? পরবর্তী ধাপগুলো কি?
পরিবর্তনের জন্য জমা দেওয়া
এবার আমি আপনাদের জানাবো “ক+০৭” তারিখে বা পরের সোমবার এসে কী করবেন সেটার ধাপগুলো। আপনার হাতে এখন আছে ৬ বা ৯টি এক্সট্রা কাগজ। ঐ যে ফর্মগুলো পূরণ করে নিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাক্ষরও নিয়ে এসেছেন নিশ্চয়ই? চমৎকার।
সময় কেমন লাগতে পারে? প্রায় তিন মাস
বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ সংশোধন:
এক এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম এক এক রকম হওয়ার কথা।
সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে যা করবেনঃ
সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর, পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট, নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে আপনি চলে যান। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে পূরণ করুর। এরপর নির্ধারিত ৫০০ টাকা ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।মনে রাখবেন টাকা জমা হওয়ার পর আপনার আবেদন কার্যকর হবে।
সার্টিফিকেট নষ্ট হলে যা করবেনঃ
নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশ বিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশ বিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।